খুবই গুরুত্বপূর্ণ, পাঁচ মিনিট সময় নিয়ে একবার দেখে নিন, পারলে শেয়ার করে অন্যকে পড়ার ও আমল করার সুযোগ করে দিন.

ধীরে ধীরে আমরা রাসুল (সাঃ) এর অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং ধৈইনন্দিন জীবনে খুব সহজ হাদিস ভুলে যাচ্ছি:


*রাতে স্ত্রীকে সাথে নিয়ে নির্জনে হাঁটা।
বুখারী- ৫২১১
রাসূল (সঃ) রাতে নির্জনে আম্মাজান আয়েশা (রাঃ) নিয়ে দৌড় প্রতিজুগিতা করতেন।

*স্ত্রীর রান্না করা হালাল খাবারের দোষ না ধরা। খেতে মন না চাইলে চুপ থাকা।
(মুসলিম- ২০৬৪)
রাসূল (সঃ) কে কিছু খেতে দিলে ওনার ভালো লাগলে খেতেন নাহলে রেখে দিতেন, কখনো খাবার ভালো হয়নি একথা বলতেননা, তিনি সব সময় খাবারের শুরুতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার নাম নিয়ে শুরু করতেন এবং খাবার শেষে শুকরিয়া আদায় করতেন।


*মাঝে মাঝে বৃষ্টির পানিতে ভেজা।
(সহীহ মুসলিম- ৮৯৮)

*বৃষ্টি হলে দোয়া করা, 
(সহীহ বুখারী- ১০৩২)
এই হাদিসটি থেকে আমরা বুজতে পারি বৃষ্টি হচ্ছে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলার রহমত তাই এই সময় দোয়া করলে আল্লাহ কবূল করেন।

*রাসুলুল্লাহ(সাঃ) বলেন : আমি টেক(হেলান) লাগানো অবস্থায় কোনো কিছু ভক্ষণ করি না।
(বুখারি, হাদিস নং: ৫১৯০)

*যতই ভালো খাবার হোক, ভরা পেটে না খাওয়া। 
(সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২৪৭৮)

*কোনো কিছু জানা না থাকলে স্বীকার করা যে, আমি জানি না। 
(বায়হাকী- ১৭৫৯৫)
কোনো কিছু না জেনে অহেতুক তর্ক না করা ইসলাম সমর্থন করেনা

*মাঝে মাঝে বিপদে আকাশের দিকে মাথা তোলা, আকাশের দিকে তাকিয়ে নিজের কষ্টগুলো আল্লাহকে বলা।
(মুসলিম- ২৫৩১)
উত্তম রূপে ওজু করে আকাশের দিকে তাকিয়ে কালিমা শাহাদাত পত্ করলে আল্লাহ গুনাহ ম্যাপ করেন।

*খুব খুশি হলে সাজদায় লুটিয়ে পড়া।
(মুখতাসার যাদুল মা' আদ- ১/২৭)
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা কোনো কিছু দান করলে তার শুকরিয়া আদায় করা.

*ধোঁয়া ওঠা গরম খাবার ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত না খাওয়া।
(বায়হাকি-৪২৮)
খুব বেশি গরম খাবার না খাওয়া।

*নফল ও সুন্নাহ নামাজ গুলো নিজের ঘরে পড়া।
(বুখারী- ৭৩১)

*ঘর থেকে বের হওয়ার সময় এবং ঘর ফিরে দুই রাকাআত নামাজ আদায় করা।
(মুসনাদে বাযযার- ৮৫৬৭)

*দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে জুতা না পরা।
(আবু দাউদ- ৪১৩৫)
এখানে শু ,বুটের এর কথা বলা হয়েছে, স্যান্ডেল বা চটির কথা নয়,

*ফজরের নামাজের পর নামাজের স্থানে বসে তসবি পড়া।
অতঃপর সূর্য উঠার পর দুই রাকাআত নামাজ আদায় করা।
(আরশিফু মুলতাকা- ৪৫৬৯)

*দ্বীনের দাওয়াত সহজ করার উদ্দেশ্যে নতুন একটি ভাষা শেখা।
(মুসনাদে আহমাদ- ২১৬১৮)

*বাড়ীতে অজু করে রুমাল দিয়ে হাতপা মুছে মসজিদে জামায়াতে যাওয়া।
(তাবরানী- ৬১৩৯)

*করজে হাসানা (সুদবিহীন ঋণ) দেওয়া। 
(সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৫৮০)

*মানুষের মাঝে বিবাদ মিটিয়ে দেওয়া।
(মুসনাদে আহমাদ- ২৭৫০৮)

*রাতে অজু অবস্থায় ঘুমানো।
(ফাতহুল বারি- ১১/১১০)

*মাঝে মাঝে খালি পায়ে হাঁটা।
(আবু দাউদ- ৪১৬০)

*মৃত্যুর আগেই সম্পদ সন্তান-সন্ততির ব্যাপারে অসিয়ত লিখে যাওয়া। 
(সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৭৩৮)

*দ্বীনের দাওয়াত সহজ করার উদ্দেশে নতুন একটি ভাষা শেখা। 
(মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২১৬১৮)


আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে আমল করার তৌফিক দান করুক।
আমীন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন