যারা কোরবানি করবেন তাদের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ, অবশ্যয় ই পড়বেন.

যিলহজ্ব মাসের বিশেষ কিছু আমল এবং ফজিলত যা সকলের জানা খুব ই জরুরি, যারা কোরবানি করার নিয়ত করেছেন তারা অবশ্যয় ই পড়বেন।


যারা কুরবানী করবেন তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল

যিলহজ্ব মাসের প্রথম ১০ দিনের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমলগুলোর মাজে একটি হচ্ছে যারা কুরবানী করবেন তারা যিলহজ্ব মাস শুরু হওয়ার পর থেকে কুরবানী করার আগ পর্যন্ত চুল, নখ, এবং শরিলের অবাঞ্চিত কোনো পশম না কাটা।

আর যারা কুরবানী করবেন না তারাও যদি এই সুন্নত আমলটি পালন করেন তাহলে তারা একটি মাকবুল কুরবানী করার সওয়াব লাভ করবেন ইন শা আল্লাহ 

[আবু দাউদ, হাদিস নং-২৭৯১]


যিলহজ্ব মাসে প্রথম দোষ দিনের রোজা রাখার নিয়ম

আসুন সর্বপ্রথম আমরা জানি কবে থেকে যিলহজ্ব কবে থেকে মাসের রোযা রাখতে হবে?

খুব সহজ করে বলতে গেলে একেবারে রমজানের রোজার মতো ই নিয়ম যেদিন সন্ধ্যায় যিলহজ্ব মাসের চাঁদ দেখা যাবে সেদিন ভোররাতে সেহরি খেয়ে রোজা শুরু করতে হবে 

সর্বমোট কয়টি রোজা রাখতে হবে?

সর্বমোট নয়টি রোজা রাখতে হবে। সবগুলো রোজা রাখাই উত্তম। তবে সবগুলো রোজা রাখতে না পারলে সাধ্য মোতাবেক রোজাগুলো রাখার চেষ্টা করতে হবে। এক্ষেত্রে অন্তত শেষের দু'টি অথবা শেষের একটি রোজা হলেও রাখা উচিত

তবে যাদের রমজানের কাযা রোযা বাকি রয়েছে, তারা প্রথমে কাযা রোযাগুলো রাখবেন। এরপরে শেষের একটি অথবা দুইটি রোজা আরাফার রোজা হিসেবে রাখবেন।

আরাফার দিনের রোজা

আরাফার দিনের রোজা সম্পর্কে রাসূল সল্লল্লহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তালার কাছে আশাবাদী যে এই দিনে রোজা রাখলে তিনি পূর্ববর্তী এক বছর এবং পরবর্তী এক বছরের গুনাহসমূহ মাফ করে দিবেন।[সহিহ মুসলিম হাদিস নং- ২৬৩৬]

রোযা রাখার জন্য নিয়ত কিভাবে করতে হবে?

সাহরী খেয়ে মনে মনে স্মরণ করতে হবে যে, আমি যিলহজ্ব মাসের (নফল) রোযা রাখলাম অথবা রাখার নিয়ত করলাম। এছাড়া আরবীতে নির্দিষ্ট কোনো নিয়ত করার প্রয়োজন নেই।

সাহরী না খেয়ে রোযা রাখা যাবে?

সাহরী খাওয়া সুন্নত এবং বিরাট ফজিলতপূর্ণ একটি সওয়াবের কাজ। তাই সাহরী খেতে না পারলেও রোজা রাখার নিয়ত করে ঘুমালে রোজা রাখা যাবে, এতে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না, বরং রোজা আদায় হয়ে যাবে। তবে সাহরী না খাওয়ার কারনে সুন্নত আদায়ের সওয়াব থেকে বঞ্চিত হতে হবে। তাই সাহরীতে এক ঢোক পানি হলেও পান করা উচিত।

সামর্থ্যবান হলে কোরবানি করা : 

কোরবানির ফজিলত সম্পর্কে হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, হজরত জায়েদ বিন আরকাম (রা:) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন একবার সাহাবায়ে কেরাম রাসূল (সা:) কে জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ, কোরবানি কী? তিনি বললেন ‘তোমাদেন পিতা ইবরাহিম (আ:) এর সুন্নত, সাহাবায়ে কেরাম পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, এতে আমাদের জন্য কী রয়েছে? রাসূল সা: বললেন, ‘প্রতিটি পশমের বিনিময়ে একটি করে নেকি পাওয়া যাবে’। সাহাবায়ে কেরাম বললেন, ভেড়ার পশমের বিনিময়ে? রাসূল সা: বললেন, ‘ভেড়ার প্রতিটি পশমের বিনিময়েও একটি করে নেকি পাওয়া যাবে। 

(ইবনে মাজাহ-৩১২৭)



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন